ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরদিন রোববার ওই কিশোরী তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি রফিকুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মো. সুমন ও মো. স্বাধীন। রফিকুল শশীভূষণ থানা বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের ভাই এবং এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি মোতালেফ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে ঈদের কেনাকাটা করতে শশীভূষণ বাজারে যায় ওই কিশোরী। কেনাকাটার সময় তার মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে তিনি ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে যান। সুমন তাকে দোকানের পেছনের শয়নকক্ষে ফোন চার্জ দিতে বলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে রফিকুল ও স্বাধীন প্রবেশ করে। রফিকুল কিশোরীকে ধর্ষণ করে, আর স্বাধীন পাহারা দেয়। কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে রফিকুলকে আটক করে। এ সময় সুমন ও স্বাধীন পালিয়ে যায়।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পাবনায় বাকপ্রতিবন্ধী নারীর ওপর ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীর ওপর ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ মার্চ রাতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার বাচ্চু ওরফে বাক্কু নামে একজনের বিরুদ্ধে আটঘরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই।
আটঘরিয়া থানার ওসি শফিকুজ্জামান সরকার জানান, নারীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ধরনের ঘটনাগুলো আমাদের সমাজে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি এই ধরনের অপরাধ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ১ মাস ৪ দিন কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১ জন