রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে স্থানীয় জনতা মারধর করে গুরুতর আহত করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাত সোয়া একটার দিকে। পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। এতে থানার ওসি (তদন্ত) আশিকুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা আহত হন। আহত ওসিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খিলক্ষেত থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, মধ্যপাড়া এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়রা কিশোরটিকে মারধর শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু খিলক্ষেত বাজার এলাকায় পুলিশের গাড়িটি স্থানীয় কয়েকশ লোক ঘিরে ফেলে এবং অতর্কিত হামলা চালায়। এতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং অভিযুক্ত কিশোরও মারাত্মকভাবে আহত হন।
ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে। এছাড়াও, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও থানায় উপস্থিত হয়েছেন। রাত দেড়টার দিকে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, আহত কিশোরটিকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা সরাসরি কিশোরটিকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি আরও জটিল আকার ধারণ করে। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন যে পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, দ্রুত বিচার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন – তিন মিনিটে পার হওয়া যাবে নদী