জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে এক নির্মম ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে রক্তক্ষরণ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। একটি মাদ্রাসার ১০ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক কিশোরের বিরুদ্ধে। পুলিশ দ্রুত অভিযোগটি তদন্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং আদালতে সোপর্দ করেছে।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ মার্চ, বুধবার দুপুরের দিকে। মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশুটি সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। পাশেই ছিল একটি ভুট্টার ক্ষেত। অভিযুক্ত কিশোর সেখানে অবস্থান করছিল এবং শিশুটিকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শিশুটির পরিবার সন্ধ্যায় ঘটনা জানতে পেরে রাতেই দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে। ২৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ ও প্রশাসনের পদক্ষেপ
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি নাজমুল হাসান ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, “শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। আমরা দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি এবং আদালতে সোপর্দ করেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সমাজের করণীয় ও সচেতনতা
এ ধরনের ঘটনা শুধু একটি পরিবারকে নয়, সমগ্র সমাজকে নাড়া দেয়। শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারিবারিক সচেতনতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নজরদারি এবং সামাজিক সচেতনতা অপরিহার্য। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে শিশুদের নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
শিশু সুরক্ষায় করণীয়:
- শিশুদের সঙ্গে খোলামেলা সম্পর্ক রাখুন, যাতে তারা কোনো সমস্যায় নির্দ্বিধায় বলতে পারে।
- অপরিচিত বা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের থেকে সতর্ক থাকুন।
- স্কুল-মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের উচিত শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে।
শেষ কথা
দেওয়ানগঞ্জের এই ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দেয় শিশু নিরাপত্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আইন প্রয়োগই নয়, সামাজিকভাবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আশা করা যায়, দোষী ব্যক্তি দ্রুত শাস্তি পাবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে খেলনার প্রলোভনে শিশু ধর্ষণ: নিষ্ঠুরতার নয়া মাত্রা