যশোরের একটি হোস্টেলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে বান্দরবানে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষরা রোববার সকালে শহরের প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন। তারা ঘটনার তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করেন।
প্রতিবাদকারীদের দাবি, বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের দুর্গম এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী যশোরের কেশবপুর থানার আউট রিচ গার্লস হোস্টেলে থাকাকালীন লেখাপড়া করতেন। তিনি কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ১৫ মার্চ কিশোরীর আত্মহত্যার খবর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিবার জানতে পারেন। তবে পরিবারের সদস্যদের মতে, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ড। নিহত কিশোরীর বাবা জানান, মেয়েকে লেখাপড়ার জন্য দুর্গম এলাকা থেকে হোস্টেলে পাঠানো হয়েছিল। হঠাৎ তার মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি কেশবপুরে গেলে মেয়ের লাশ ফেরত দেওয়া হয়নি। পরে তিনি ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ শুনতে পান।
নিহতের বাবা আরও অভিযোগ করেন, হোস্টেল পরিচালক ও অন্যান্য ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত। তাদের গ্রেপ্তার করলে সত্যি উদ্ঘাটন সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদ এবং ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।
এই ঘটনায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১ মাস ৪ দিন কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১ জন