চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধী দুই নারীর ওপর ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার মর্মান্তিক ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সমাজের সবচেয়ে অসহায় ব্যক্তিদের ওপর এই নৃশংস অপরাধে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত
১. মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ
গত ৪ এপ্রিল রাতে সাতকানিয়ার চরতি ইউনিয়নের তুলাতলী বাজার এলাকায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে তারা দেলোয়ার হোসেন (২২) নামে এক যুবককে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার নারীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে।
২. বাক প্রতিবন্ধী নারীর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা
এর আগে, ১ এপ্রিল একই এলাকার মো. আজিজ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি এক বাক প্রতিবন্ধী নারীর বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। প্রথমে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হওয়ায় পুলিশ আজিজকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের ব্যবস্থা ও আইনি প্রক্রিয়া
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে যেতে পারেনি।
সমাজের অসহায়দের সুরক্ষা জরুরি
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিবার, সমাজ ও সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এই ধরনের জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা এবং সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
কী করা উচিত?
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবারকে সচেতন হতে হবে।
- এমন ঘটনা ঘটলে দ্রুত পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে।
- সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে সেমিনার ও ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শেষ কথা
প্রতিবন্ধী নারীদের ওপর এই হিংস্রতা মানবতার লজ্জা। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজে ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় পিতার বিরুদ্ধে কন্যা ধর্ষণের মর্মান্তিক অভিযোগ: বাবা কারাগারে