সাঁথিয়া উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৭০ বছর বয়সী আছাব আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ধুলাউড়ি ইউনিয়নের আলোকদিয়ার গ্রামে। মঙ্গলবার (তারিখ) পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে এবং তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২ জানুয়ারি আছাব আলী ওই কিশোরীকে চালাকির সঙ্গে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ঘটনাটি কাউকে বলতে নিষেধ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। কিছুদিন পর কিশোরীটি গর্ভবতী হলে পরিবারের কাছে বিষয়টি ফাঁস হয়।
পরিবার তাকে ১৬ মার্চ পাবনার ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানোর পর গর্ভধারণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর কিশোরীর বাবা স্থানীয় সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আছাব আলীকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের বক্তব্য
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পাবনা আদালতে হাজির করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।”
সমাজে ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনা ও প্রতিকার
দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েদের বিরুদ্ধে এমন অপরাধ সমাজের মৌলিক চিন্তাভাবনাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা গেলে এমন ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।
প্রতিকারের উপায়
- সচেতনতা বৃদ্ধি: পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষা ও যৌন নির্যাতন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
- দ্রুত বিচার: ধর্ষণের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা প্রয়োজন।
- কঠোর শাস্তি: অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে অন্যকে সতর্ক করতে হবে।
উপসংহার
এই ঘটনা আমাদের সমাজের অন্ধকার দিকটি আবারও মনে করিয়ে দিল। শুধু আইন প্রয়োগ করেই নয়, সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করেই আমরা নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ করতে পারি। আশা করা যায়, এই মামলার দ্রুত ও ন্যায়সঙ্গত বিচার হবে এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে ন্যায়বিচার মিলবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ত্রিপুরায় কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন