আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের ১৬টি উপকূলীয় জেলায় ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে রিমাল বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার – এই জেলাগুলি এবং এসব জেলার কাছের দ্বীপ ও চরগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
রিমালের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সবরকম উপায়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে এটি ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ।
সতর্কতা:
উপকূলীয় এলাকার জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
সকলকে সর্বশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে অবগত থাকতে এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল কতোটা শক্তিশালী হয়ে আঘাত হানতে যাচ্ছে
করতোয়ার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন