কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আলমগীর হোসেন (প্রকাশ সোহেল) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বিস্তারিত
অভিযুক্ত সোহেল চৌদ্দগ্রাম সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের দরিবট্টগ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে। শিশুটির মা একটি মামলা দায়ের করে জানান, তিনি বনফুল কোম্পানিতে চাকরি করেন। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় গত নয় মাস ধরে তিনি চৌদ্দগ্রামের উজিরপুর ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকছিলেন।
মায়ের নাইট শিফটের চাকরির কারণে শিশুটিকে প্রতিবেশীদের তত্ত্বাবধানে রাখা হতো। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে, পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল শিশুটিকে একা পেয়ে তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা দেয়।
অভিযুক্তের আটক
শিশুটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তারা সোহেলকে খাটের নিচে উলঙ্গ অবস্থায় আবিষ্কার করে। সে পালানোর চেষ্টা করলে খাটের নিচ থেকে বের হওয়ার সময় মাথায় আঘাত পায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিশুটির মা অভিযোগ দায়ের করেছেন, এবং অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সমাজে শিশু নিরাপত্তা: আমাদের সচেতনতা জরুরি
এ ধরনের ঘটনা শিশু নিরাপত্তা ও সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র তুলে ধরে। শিশুদের সুরক্ষায় পারিবারিক সচেতনতা, প্রতিবেশীর সজাগ দৃষ্টি এবং প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ অপরিহার্য।
শিশু সুরক্ষায় করণীয়:
- শিশুদের নির্জন স্থানে একা রাখা থেকে বিরত থাকুন।
- প্রতিবেশী বা আত্মীয়দের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রাখুন।
- সন্তানকে ভালো-মন্দের শিক্ষা দিন এবং বিষয়গুলো খোলামেলা আলোচনা করুন।
- কোনো অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় প্রশাসনকে জানান।
শেষ কথা
এ ধরনের নৃশংস ঘটনা মানবতার কলঙ্ক। আশা করা যায়, দোষী ব্যক্তির দ্রুত বিচার হবে এবং শিশুটি যেন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে, সেজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ক্যারিয়ার, সম্পর্ক, আত্মবিশ্বাস: হতাশা থেকে বেরিয়ে আসার গাইডলাইন