কেরানীগঞ্জের নয়াবাজার এলাকায় এক মর্মস্পর্শী ঘটনায় স্থানীয় সম্প্রদায় হতবাক। চার বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ১১ বছর বয়সী আরেক শিশুকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনাটি রোববার দুপুরে ঘটে এবং ভুক্তভোগী শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি সোহরাব আল হোসাইন জানান, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে অভিযুক্ত শিশুটি গাছে পানি দেওয়ার অজুহাতে ভুক্তভোগী শিশুটিকে ছাদে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর মেয়েটির বাবা-মা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওসি আরও বলেন, “মেয়েটির পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলেটিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও এই ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।”
ভুক্তভোগী শিশুটির ফুপু জানান, প্রথমে তাকে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে রাত পৌনে একটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এই ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শিশু নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা আবারও সামনে এসেছে। শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের প্রতি সহিংসতা রোধে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ধরনের ঘটনাগুলো প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পাশাপাশি, শিশু অধিকার সংরক্ষণ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর ভূমিকা প্রত্যাশিত।
এই ঘটনাটি শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সকল স্তরে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে এনজিও কার্যালয়ে নারী শ্রমিককে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের’ অভিযোগ: একজন গ্রেপ্তার