নোয়াখালী সদর উপজেলার জামালপুর গ্রামে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় পলাতক আসামি মো. সুজন (৩১)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। বুধবার দিবাগত রাতে র্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি সুজন নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের হেঞ্জু মিয়ার ছেলে। র্যাব সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী, যিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন। সুজন ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন এবং পড়ানোর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। ছাত্রীর মা বিষয়টি টের পেয়ে তার বাবাকে জানান।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী জানান, সুজন তাকে গোপনে চট্টগ্রামে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। পরে ছাত্রীর বাবা প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করে মেয়েকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন। তবে ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সুজন ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে নোয়াখালী থেকে ফেনী নিয়ে যান। পরে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে মেয়ে ও অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যানের জিজ্ঞাসাবাদে সুজন ওই ছাত্রীকে তার বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবি করেন, কিন্তু বিয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আদালতে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব কর্মকর্তা মিঠুন কুমার কুন্ডু জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই ঘটনাটি সমাজে নৈতিকতা ও আইনের শাসনের গুরুত্বকে আরও একবার তুলে ধরে। আশা করা যায়, দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে ন্যায়বিচার প্রদান করা সম্ভব হবে।