অভাব মানে শুধু টাকার অভাব নয়—অভাব মানে সমাজের চোখে মূল্যহীন হয়ে যাওয়া, নিজের পরিচয় হারিয়ে ফেলা। একজন পুরুষ যখন বেকার থাকে, তখন শুধু অর্থের সংকটই নয়, তার আত্মসম্মান, মর্যাদা, ভালোবাসা—সবকিছু ধীরে ধীরে মুছে যেতে থাকে।
পরিবার তাকে গ্রহণ করে, কিন্তু ভিতরে লুকিয়ে রাখে এক অদৃশ্য হতাশা। বন্ধুরা দূরত্ব বাড়ায়, আত্মীয়রা তাচ্ছিল্য করে, আর সমাজ একদিন তাকে এমন জায়গায় ফেলে দেয়, যেখানে তার অনুভূতিগুলো মূল্যহীন হয়ে পড়ে। কারণ, সমাজ বলে—”বেকারের কোনো আবেগ থাকতে নেই!”
একটা বেকার ছেলের দিন কেমন হয়?
প্রতিদিন সকাল হয় নতুন আশার সাথে, কিন্তু সন্ধ্যায় ফুরিয়ে যায় হতাশার গহ্বরে।
- সে ঘুম থেকে উঠে ভাবে, “আরেকটা দিন গেল, কিন্তু কিছুই বদলালো না!”
- কাজ খুঁজতে বের হয়, আশায় থাকে কেউ তাকে একটা সুযোগ দেবে। কিন্তু বাস্তবতা?
- “অভিজ্ঞতা নেই!”
- “আমাদের লোক লাগবে না!”
- “তুমি কেমন যেন!”
এই কথাগুলো প্রতিদিন তার আত্মবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে ফেলে।
তারপর?
একসময় সে নিজেকেই ঘৃণা করতে শুরু করে। স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেয়, কারণ স্বপ্ন কি শুধু টাকাওয়ালাদের জন্য!
- কেউ চুপচাপ হারিয়ে যায়, নিজেকে গুটিয়ে ফেলে।
- কেউ বিষ খেয়ে জীবন শেষ করে দেয়।
- আর কেউ মেনে নেয়—“আমার জন্মটাই বুঝি ভুল ছিল!”
কিন্তু গল্পের শেষ এখানেই নয়!
অভাবের এই লড়াইয়ে সবাই হারায় না। কিছু মানুষ সব প্রতিকূলতা জয় করে উঠে দাঁড়ায়। তারা শুধু নিজেদের জন্যই নয়, হাজারো নিঃশব্দ স্বপ্নের জন্য আলো হয়ে ওঠে।
কঠিন বাস্তবতা
সমাজ শুধু সাফল্যের গল্প মনে রাখে, ব্যর্থতার কান্না শোনে না। তাই…
“যদি বেঁচে থাকতেই হয়, তাহলে এমনভাবে বাঁচুন যাতে একদিন এই সমাজ আপনাকে চিনতে বাধ্য হয়!”