থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের sidelines-এ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই বৈঠকটি গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে। বৈঠকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে:
- শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ – বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তার ফেরত চাওয়া হয়েছে।
- উস্কানিমূলক বক্তব্য – ভারতে অবস্থান করে তিনি যেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উত্তেজনামূলক মন্তব্য না করেন, সে বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
- সীমান্ত হত্যাকাণ্ড – বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
- তিস্তা নদীর পানি বণ্টন – দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত এই ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চাওয়া হয়েছে।
কেন এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ?
এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সরাসরি বৈঠক। বিমসটেকের মতো আঞ্চলিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যেই এই আলোচনা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সম্ভাবনা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও জলসম্পদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা চলছে। তবে কিছু অমীমাংসিত ইস্যু রয়ে গেছে, যার মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন এবং সীমান্ত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য। এই বৈঠকে সেসব বিষয়ে অগ্রগতি হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
শেষ কথা
এই বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং অন্যান্য ইস্যুতে কতটুকু অগ্রগতি হবে, তা ভবিষ্যতই বলবে।
আপনার মতামত জানান:
এই বৈঠককে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন? শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আপনার মত কী? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!
আরও পড়ুন: গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়