সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত অটোরিকশায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরীকে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ:
বৃহস্পতিবার বিকেলে দিরাই পৌর শহরে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দিরাই বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি অটোরিকশায় ওঠে ওই কিশোরী। কিছুক্ষণ পর আরও দুই যুবক সেই অটোরিকশায় উঠে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চালক দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো শুরু করে এবং নির্ধারিত গন্তব্যের কাছাকাছি এসেও থামানোর পরিবর্তে আরও জোরে চালাতে থাকে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই দুই যুবক কিশোরীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং মুখ চেপে ধরে রাখে। আত্মরক্ষার জন্য কিশোরী চলন্ত অটোরিকশা থেকে ঝাঁপ দেয়, যার ফলে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়।
পুলিশের পদক্ষেপ:
পরিবারের সদস্যরা রাত ৯টার দিকে ঢাকায় থাকা এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারেন। এরপর রাত ১১টার দিকে কিশোরীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে পুলিশকে জানানো হলে রাত ৯টার দিকে অভিযুক্ত অটোরিকশাচালক ইমন খান (২৫) ও মিঠু মিয়াকে আটক করা হয়। আটক দুইজনের বাড়ি দিরাই উপজেলার জকিনগর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা গ্রহণ করা হবে।
চিকিৎসা ও তদন্ত:
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কর্মকর্তা সৈয়দা শাহনাজ মঞ্জুর ইভা জানান, কিশোরী গুরুতর শারীরিক আঘাত পেয়েছে এবং তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সদের সূত্র ধরে তিনি আরও বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সতর্কবার্তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
এ ধরনের ঘটনা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, একা যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রত্যেককে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।