মাদারীপুরের শিবচরে নিজস্ব ক্লিনিকের এক নারী কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ (৪২) গ্রেপ্তার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে শিবচরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
পুলিশ ও মামলার নথি থেকে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত এক নার্সকে দীর্ঘদিন ধরে আপেল মাহমুদ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই নার্স তার অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায়, ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর, হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে তাকে আটক করেন আপেল মাহমুদ। তিনি ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই নার্সকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে কক্সবাজার নিয়ে যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তিন দিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন।
২৫ ডিসেম্বর, শিবচরে ফিরে আসার পর, আপেল মাহমুদ একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ভুয়া বিয়ের কাগজপত্র তৈরি করে ওই নার্সকে ছেড়ে দেন।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার ৩০ ডিসেম্বর শিবচর থানায় মামলা করতে গেলে, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। পরে তারা মাদারীপুর আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালতের নির্দেশে ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকে আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া আপেল মাহমুদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার বাসিন্দা। তিনি মৃত চানমিয়া শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও শিশু ধর্ষণ চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা রয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, “আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ফারজানা সিঁথিকে ধর্ষণের হুমকি, কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে মামলা