জামালপুর সদর উপজেলায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন শিশুকে ধর্ষণের মর্মান্তিক অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকালে। ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটিকে জামালপুর শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. লাল মিয়া (৫০) পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার ড্রাইভার। তিনি জামালপুর সদর উপজেলার একটি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা যায়, গতকাল সকালে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় লাল মিয়া তাকে কৌশলে নিজের ঘরে নিয়ে যান এবং ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন। এ সময় লাল মিয়া শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যান।
শিশুটির মা জানান, তার সন্তান মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তিনি বলেন, “আমার বাচ্চা গাড়ির টায়ার নিয়ে খেলছিল। সেখান থেকে তাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঘর থেকে বের করে আনে। প্রথমে আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি, কিন্তু বিচার পাইনি। রাতে আমার বাচ্চার পেটে ব্যথা শুরু হলে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমি বিচার চাই।”
ঘটনাটি নিয়ে হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (প্রসূতি) ডা. খায়রুল বাসার বলেন, শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিভাগে প্রয়োজনীয় নমুনা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। নমুনার রিপোর্ট পাওয়ার পর সঠিক তথ্য জানা যাবে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, “শিশুটি মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও কথাবার্তা বলতে পারে। প্রাথমিকভাবে তার সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি জানা গেছে। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”
এ ধরনের ঘটনায় সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফুল কিনতে যাওয়া তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ | দুই ছাত্রদল নেতা আটক