রাজধানীর দক্ষিণখানে একটি মাদ্রাসার ১২ বছরের এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই শিক্ষক ইয়াসিন আলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে দক্ষিণখানের একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা মাদ্রাসার সামনে জড়ো হয়ে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেন। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতার ও দ্রুত শাস্তির দাবি জানান। পরে স্থানীয়রা ইয়াসিন আলীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি প্রথমে স্থানীয়দের নজরে আসে। এরপর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেন। খবর পেয়ে দক্ষিণখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ওসি তাইফুর রহমান বলেন, ‘মাদ্রাসার এক শিক্ষক তারই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক হয়েছেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। আমরা তাকে গ্রেফতার করে থানায় এনেছি।’
তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে, ভুক্তভোগী শিশুকে পুলিশ থানায় রাখা হয়েছে। শনিবার তাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই শিশুটির নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, তদন্ত দ্রুত শেষ করে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
এ ধরনের ঘটনা সমাজের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আশা করা যায়, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এই ঘটনা শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আরও তুলে ধরেছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৯ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত কিশোর আটক