পটুয়াখালী সদর উপজেলায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির চাচাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে শিশুটিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত শুক্রবার রাতে শিশুটির পরিবার পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ অনুযায়ী, শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চাচাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করে। পটুয়াখালী সদর থানার উপপরিদর্শক মো. রাসেল জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার বিস্তারিত জানা গেছে, শিশুটির চাচাতো ভাই কয়েক দিন আগে তাদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শিশুটির মা বাজারে যান। এ সময় শিশুটিকে বাসায় রেখে যান। ঘণ্টাখানেক পর ফিরে এসে তিনি দেখেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে ওই ব্যক্তি জবরদস্তি করছেন। ঘটনা বুঝতে পেরে তিনি চিৎকার করলে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যান। এরপর শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) থেকে জানা গেছে, শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং সে এখন সুস্থ আছে। তবে হাসপাতালের পরিচালক দিলরুবা ইয়াসমিন এবং চিকিৎসক সায়মা সুলতানার সাথে সরাসরি কথা বলা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের এক কর্মকর্তা শিশুটির চিকিৎসা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শিশুটির ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও শিশু অধিকার সংগঠনগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। শিশু নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই ধরনের ঘটনায় সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। আশা করা যায়, দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন হবে এবং শিশুটির পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ১ মাস ৪ দিন কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১ জন