পটুয়াখালীর বাউফলে এক মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয় সম্প্রদায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু ধর্ষণ এর অভিযোগে সালাম খন্দকার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই নৃশংস ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে রাগ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাজিরপুর ইউনিয়নের বাকলা তাঁতেরকাঠি গ্রামে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা সেই সময় বাড়িতে অনুপস্থিত ছিলেন। নির্জন পরিবেশের সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত সালাম খন্দকার শিশুটিকে খাবারের লোভ দেখিয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এই নরপিশাচ।
শিশুটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। আতঙ্কিত শিশুটি বাড়ি ফিরে তার মায়ের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে। পরিবারটি তৎক্ষণাৎ স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশের তৎপরতা ও গ্রেপ্তার
অভিযোগ পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। একই দিন রাত ৯টার দিকে অভিযুক্ত সালাম খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
শিশু ধর্ষণ: একটি জাতীয় সমস্যা
দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন নৃশংস ঘটনা নিয়মিত সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে। শিশুদের সুরক্ষায় কঠোর আইন থাকলেও এর প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
কী করা উচিত?
- সচেতনতা বৃদ্ধি: পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
- দ্রুত বিচার: ধর্ষণের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা প্রয়োজন।
- কঠোর শাস্তি: অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্য কেউ এমন পাশবিক কাজ করতে সাহস না পায়।
শেষ কথা
এই ঘটনা আমাদের সমাজের অন্ধকার দিকটি আবারও উন্মোচন করেছে। একটি নির্দোষ শিশুর জীবন ধ্বংস করার মতো নিষ্ঠুরতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আশা করি, দোষী ব্যক্তি দ্রুত বিচারের মুখোমুখি হবে এবং শিশুটির পরিবার ন্যায়বিচার পাবে। শিশু ধর্ষণ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ: অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, বাড়িতে ভাঙচুর