নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় সাত বছরের একটি শিশুর ওপর বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মায়ের ভাষ্য:
হাসপাতালে থাকা শিশুটির মা জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি দোকানে পাঠান। এক ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও সে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর দেখতে পান, শিশুটি ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে আসছে, হাঁটতে পারছে না এবং শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
চিকিৎসা পরিস্থিতি:
হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, শিশুটির শরীরে ব্লেডের মতো ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসব ক্ষত গভীর হওয়ায় তা সেলাই করতে হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, শিশুটিকে সার্বক্ষণিক এক নারী চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাহমিনা বেগম বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার, যার ফলাফলের ওপর পরবর্তী চিকিৎসা নির্ভর করবে।
পুলিশের বক্তব্য:
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এখন পর্যন্ত নির্যাতনকারীর বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য না পাওয়া গেলেও সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ