বুধবার (২৬ মার্চ) ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে দুটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামলার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করল?
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট তাদের বিমান বাহিনীর ডিফেন্স সিস্টেম “আয়রন ডোম” দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে। অন্যটি ইসরায়েল-গাজা সীমান্তের কাছে জিমরাত এলাকায় পড়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৩ মিনিটে সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই রকেট হামলা শনাক্ত হয়।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা: হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই যুদ্ধে ইতিমধ্যে ৫০,১৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১৩,৮২৮ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
কেন এই সংঘাত অব্যাহত?
গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ প্রায়ই রকেট হামলা ও বিমান আক্রমণের দিকে মোড় নেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংঘাত নিরসনের জন্য শান্তি আলোচনার আহ্বান জানালেও এখনও স্থায়ী সমাধান হয়নি।
পরিস্থিতির সম্ভাব্য প্রভাব
- নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি রয়েছে।
- গাজায় মানবিক সংকট তীব্র হচ্ছে, যেখানে বেসামরিক নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
- আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি প্রচেষ্টা জোরদার করার দাবি উঠছে।
এই সংঘাতের সমাধান কবে এবং কীভাবে হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে উভয় পক্ষের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে শান্তি আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোক: চেক ডিজঅনার মামলার বিস্তারিত বিশ্লেষণ