সম্প্রতি বগুড়ায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি স্কুলছাত্রীকে মুঠোফোনে বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি শিবগঞ্জ উপজেলার এক কিশোরীর সাথে ঘটেছে, যার বয়স মাত্র ১৬ বছর। বর্তমানে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়া শহরের একটি আবাসিক হোটেলে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ইমরান (১৯) নামের এক তরুণ আগে থেকেই ফোনে ওই কিশোরীর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। ধীরে ধীরে তার আস্থা অর্জন করার পর, সে তাকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে। পরে তাকে পার্কে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বগুড়ায় নিয়ে আসে। সেখানে তাকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর কিশোরীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ইমরান পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পরিবারকে খবর দেয়। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশের তদন্ত ও অভিযুক্তের সন্ধান
ভুক্তভোগীর বাবা স্থানীয় থানায় মামলা করেছেন। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঈনুদ্দিন জানিয়েছেন, কিশোরীটি এখন আশঙ্কামুক্ত এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি চলছে।
হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, ধর্ষণের পর কিশোরীর রক্তক্ষরণ হয়েছিল, তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
সামাজিক সচেতনতা ও সাইবার সুরক্ষা
এই ঘটনা আমাদের সামনে আবারও প্রশ্ন তুলে ধরেছে—কতটা নিরাপদ আমাদের কিশোর-কিশোরীরা? বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম ও মুঠোফোনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরও সতর্ক হতে হবে।
কীভাবে সচেতন হবেন?
সন্তানের মুঠোফোনের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটর করুন।
অপরিচিত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ সীমিত রাখুন।
সন্তানকে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করতে সচেতন করুন।
কোনো সন্দেহজনক আচরণ দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
শেষ কথা
এই ঘটনা আমাদের সমাজের অন্ধকার দিককে আবারও উন্মোচিত করেছে। শুধু আইন প্রয়োগ করেই এই ধরনের অপরাধ বন্ধ করা যাবে না, প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিক শিক্ষা। আশা করি, ভুক্তভোগী কিশোরী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এবং দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে।
আরও পড়ুন: দুমকীতে বৃদ্ধা ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড: নৃশংসতার নয়া মাত্রা
#সচেতনতাই_সুরক্ষা #ধর্ষণ_বন্ধ_করুন #সাইবার_সুরক্ষা