ইমেইল সাবস্ক্রিপশন
এই ব্লগসাইটে প্রকাশিত তথ্য সপ্তাহে ১ দিন ইমেইলে পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করুন;
- এইচএসসি পাশ করার পর চাকরি: সম্ভাবনা, সুযোগ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা
- কুমিল্লায় গৃহবধুকে ধর্ষণের পর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ
- জমির দলিল যাচাই করার পূর্ণ গাইড: বৈধতা নিশ্চিত করার উপায়
- ২০ থেকে ৩০ বছর – জীবনের সোনালী সময়
- বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজ: মাত্র ৫০ টাকায় স্টেডিয়ামে লাইভ ক্রিকেট উপভোগ করুন!
- মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ: ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল গৌরনদী
- দশমিনায় নারীর উপর বর্বর দলবদ্ধ ধর্ষণ: ন্যায়বিচার কবে?
- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৫৮ শূন্য পদে নিয়োগ: আবেদন শুরু ২১ এপ্রিল
Author: Azgar Ali

আপনাদের সাথে রয়েছি আমি মো. আজগর আলী। ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল। আর তাই গড়ে তুলেছি এই সংবাদভিত্তিক ব্লগ সাইট। সবসময় সাহসের সাথে সঠিক তথ্য প্রকাশের চেষ্টা করি। সময় ও তথ্যের সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ।
একটা ভুল সিদ্ধান্ত জীবনের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। সিদ্ধান্ত নিতে হলে বার বার ভাবা উচিত। একটা সিদ্ধান্ত যেমন জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে আবার জীবনকে শেষও করে দিতে পারে। আজ আমার বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। এখান থেকে কিছুটা হলেও শিক্ষা নিতে পারবেন। আমি তখন ইন্টার পাশ করেছি। ডিগ্রি কলেজে বিএসএস গ্রুপে ভর্তি হয়েছি। সামনে ছিল ২য় বর্ষের পরীক্ষা। আমার বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে একটি ছোট বাজারে আমার একটি কম্পিউটারের দোকান ছিল। কম্পিউটার বিক্রি করতাম এমন নয়। কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করতাম যেমন প্রিন্টিং, স্ক্যান, অনলাইনে ভর্তি, ছবি তোলা ইত্যাদি। মোবাইলের মেমোরী লোডও…
পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে তন্মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে শান্তি প্রিয় ধর্ম। এই ধর্মের সকল মানুষ একজন সত্তায় বিশ্বাসী আর তিনি হলেন মহান আল্লাহতায়ালা। আমি নিজেও একজন মুসলিম আর তাই আমি গর্বিত। আমাদের শেষ নবী ও রাসুল হলেন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)। একরাশ দুঃখ নিয়ে বলতে হচ্ছে এই ইসলাম থেকে মানুষ ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। এমন না যে মুসলিমরা দিনের দিন অন্য ধর্মের দিকে ধাবিত হচ্ছে কিন্তু তারা ইসলামের নিয়ম-নীতি থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। নামে মাত্র মুসলিম থেকে কোনো লাভ নেই। মুসলিম হিসেবে আমাদের উপর অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। বিধি নিষেধ রয়েছে। আমরা যদি এসব না মেনে চলি…
ওষুধ ব্যাপারটি বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ ছাড়া আমরা যেন একদিনও চলতে পারি না। আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধকেও ওটিসি বানিয়ে ফেলছি। আর এই জন্যেই সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ে না। ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আজ এ বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো ইনশাআল্লাহ। মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ুন, আশা করি উপকার ব্যতীত অপকার হবে না। আদিম যুগে আমরা একটু ফিরে যাই। আজ থেকে ১০০ বছর আগে এখনকার মতো এতো রোগ ছিল না। এতো হসপিটাল ছিল না। এতো এতো ওষুধ ছিল না। তারপরেও মানুষ বেঁচে থাকতো প্রায় ১১০ বছর, ১২০ বছর বা তারও বেশি। আর এখন তো ৫০ পার হলে…
মোবাইল আসক্তি আসলে একটা নেশার মতো। নির্দিষ্ট সময়ে নেশা না করলে যেমন শরীরে ছটফট শুরু হয় তেমনি নির্দিষ্ট সময়ে হাতে মোবাইল না এলে বাচ্চাদের অস্থিরতা শুরু হয়। কিন্তু এই অস্থিরতা ভালো লক্ষণ নয়। যারা মোবাইলে আসক্ত তারা এটাকে ঠিক নেশা মনে করে। বস্তুত তারা ভালো কোন কিছুই শিখতে পারে না। আর যারা শিখে তাদের মধ্যে কখনো আসক্তি হয় না। তারা নির্দিষ্ট দরকারে ফোন হাতে নেয় এবং দরকার শেষ হলে ফোন রেখে দেয়। মোবাইল আসক্তি থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখার জন্য অভিভাবকদের জন্য আমার পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ রয়েছে। আশা করি, পরামর্শগুলো আপনারা সাদরে গ্রহণ করবেন। ১. বাসায় যে মোবাইলটি রয়েছে সেটি…
আমি ২০১১ সালে এসএসসি পাশ করি। আর এইচএসসি পাশ করি ২০১৩ সালে। তারপর কি করতে চেয়েছিলাম আর কি করেছি তা এই লিখায় পাবেন। কিন্তু পাশের পরপরই আমার সাথে এক দূর্বিষহ ঘটনা ঘটেছিল অর্থাৎ আমি প্রায় ঘটিয়েই ফেলেছিলাম। শেষ পর্যন্ত বেঁচে ফিরে এসেছি। আজ সেই ঘটনাটাই শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আমি এইচএসসি পাশ করি ২০১৩ সালে। সে সময় দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজ (বর্তমান নাম) এর নাম ছিল দেবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ। আমি পাশ করার কিছুদিন আগেই সেটা সরকারি হয়ে যায় এবং আমি আমার সার্টিফিকেট-এ সরকারি ট্যাগ পাই। আমি বিজ্ঞান বিভাগে পড়তাম। তখন আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসতাম। তার সাথে নিয়মিত কথা বলতাম। দেবীগঞ্জে কলেজের…
ছোটবেলায় যখন কিছুই বুঝতাম না তখন ভাবতাম না জানি পৃথিবীটা কতো সুন্দর! বড় হলে কতোই না জানি আনন্দ উপভোগ করতে পারবো। কতোই না সুখ শান্তি পাবো। কিন্তু পরিস্থিতি আমায় বুঝিয়ে দিচ্ছে – এক অশান্ত পৃথিবীতে আমি বাস করছি। আমার নিজেরই নিরাপত্তা নাই, আমি আর কার পাশে দাড়াবো আর কাকেই বা সাহায্য করবো। আমি তো নিজেই আমার চোখের জল মুছতে মুছতে ক্লান্ত। আমি আর কার চোখের জল মুছবো। এ অশান্ত পৃথিবী আমায় একদম শান্ত বানিয়ে দিচ্ছে। আমায় পঙ্গু করে দিচ্ছে। আমার অন্তরের মধ্যে ফুটে ওঠা শত পদ্মকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। যখন আমার চারপাশে তাকাই আমি অবাক হয়ে যাই। মুষ্টিমেয় কিছু লোক…
আমরা এখন যে যুগে বাস করছি সেই যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে জানাটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেট সেবা এখন ঘরে ঘরে পৌছে গেছে। সুতরাং আমরা যদি এর ব্যবহার সম্পর্কে না জানি তবে আমরা পিছিয়ে থাকবো। এখন, যারা কম্পিউটার ও ইন্টারনেট নিয়ে পড়াশোনা করছে তাদের হিসাবটা আলাদা। তারা তো এর ব্যবহার সম্পর্কে জানছেই। কিন্তু যারা সাধারন নাগরিক তাদের আসলে কতটুকু জানা প্রয়োজন? আমার এই লিখায় মূলত সেটাই আমি প্রকাশ করবো। বাংলাদেশের কথা যদি এখন চিন্তা করি তাহলে বলা যায়, বাংলাদেশের বহু মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। প্রায় ঘরে ঘরে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এখন যাদের ঘরে অ্যান্ড্রয়েড ফোন তারা যদি এই ফোনটার ব্যবহারই না জানে তাহলে…
মানুষ একা চলতে পারে না। কোন না কোন সময় কারও না কারও উপর মানুষকে ভরসা করতেই হয়। আল্লাহতায়ালার উপর ভরসা আমরা সবসময়ই করি। কিন্তু তিনি তো আর নিজে এসে সমস্যার সমাধান করে দেন না। কারও উছিলায় তা করে দেন। সেই উছিলার জায়গাটিতে থাকে মানুষ। তাই স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, আমরা মানুষের উপর ভরসা করি। এখন, আপনি কেমন মানুষের উপর ভরসা করবেন? এটার উত্তর কখনো অগ্রিম জানা যায় না। সময় আর পরিস্থিতি আপনাকে তা বুঝিয়ে দেবে। আমরা যদি আগেই জানতাম যে, আমরা বিপদে পড়লে এমন মানুষের উপর ভরসা করবো – তাহলে সহযোগিতা পাবোই পাবো তাহলে আমাদের জীবনে আর কোন সমস্যা থাকতো না।…
আমি মো. আজগর আলী। আমার একটি ডাক নাম রয়েছে আর সেটা হলো ‘সাদেক’। অবশ্য এই ডাক নাম তেমন কেউ জানে না, অল্প কিছু মানুষ জানে। আমার বড় ভাই মো. মোজামেল হক আদর করে এই নামে ডাকতেন আরকি। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ডাকার প্রবণতাও তাদের কমে গেছে। কিন্তু আমি মন থেকে মনে রেখেছি সেই নাম। ছোট বেলায় বড় হয়েছি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের বেলতলী পাড়া নামক এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। সেখানেই আমার জন্ম হয়েছিল। আমরা মোট দুই ভাই তিন বোন। তবে আমার বাবা ২টি বিয়ে করেছিলেন। আমরা হলাম আমার বাবার ২য় স্ত্রীর ঘরের সন্তান। আগের স্ত্রীর ঘরেও দুই…
সত্যিই এক অস্থির জেনারেশন তৈরী করছি আমরা। বিলিভ ইট অর নট এই জেনারেশনের স্পেসিফিক কোন লক্ষ্য নাই, এদের আদর্শিক কোন এম্বিশন নাই এবং এদের পবিত্র কোন মিশন নাই। এরা কখনো বই পড়ে না, নিউজপেপার পড়ে না ও আউটডোর খেলাধুলায়ও এদের অনীহা রয়েছে। এই অস্থির জেনারেশন রৌদ্রে হাঁটতে পছন্দ করে না, বৃষ্টিতে ভিজতে চায় না। কাঁদা-মাটি, ঘাস, লতাপাতায় এদের এলার্জি। এরা আধা কিলোমিটার গন্তব্যে যেতে আধা ঘন্টা রিক্সার জন্য অপেক্ষা করে। এরা অস্থির, প্রচন্ডরকম অস্থির এক জেনারেশন। এরা পরিচিত সিনিয়রদের সালাম দেবে না, পাশ কাটিয়ে হনহন করে চলে যাবে অথবা গা ঘেষে পায়ে পাড়া দিয়ে চলে যাবে। ‘সরি’ বলার টেন্ডেন্সি এদের…