কুমিল্লার চান্দিনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ মার্চ, তবে মামলাটি দায়ের করা হয় শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে। ভুক্তভোগী ছাত্রী চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করে এবং অভিযুক্ত দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়।
আটককৃত দুইজন হলেন—কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মো. সোয়েব এবং একই ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের রতন চন্দ্র সরকার।
ভুক্তভোগী ছাত্রী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা। সে কচুয়া উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ১৯ মার্চ বিকেলে চান্দিনা ও কচুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কৈলাইন বাজারে বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়ে সে এই ভয়াবহ ঘটনার শিকার হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বর্ণনা অনুযায়ী, বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যার পর অটোরিকশায় বন্ধুর সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে ৫-৬ জন যুবক তাদের অটোরিকশা জোর করে থামায়। এরপর তারা চালক এবং ছাত্রীকে চর-থাপ্পর দিয়ে জমির মাঝে একটি সেলু মেশিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে চালকের হাত-পা বেঁধে ফেলার পর পাঁচ যুবক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার আগে তারা ছাত্রী এবং চালককে সেখানে ফেলে রেখে যায়।
অনেকক্ষণ পর ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে চালকের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেয়া হয়। এরপর চালক তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরদিন (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় ছাত্রী ওই অটোরিকশা নিয়ে আবারও কৈলাইন বাজারে যায় এবং সেখানে দুইজন অভিযুক্তকে চিনতে পেরে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করে। এতে স্থানীয়রা অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে এবং পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দুই যুবককে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা দায়ের করার পর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনা সমাজে নারী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয়রা ঘটনাটিকে নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার এবং কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে ৮ মাসের শিশুর হাত-পা ভেঙে পালিয়েছে মা